loader image

টাকার ব্যবহারে আরও উদ্দেশ্যপূর্ণ হওয়ার ৭ কার্যকর কৌশল

বাজেট তৈরি, অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমানো ও সঞ্চয় বাড়িয়ে টাকার ব্যবহারকে দীর্ঘমেয়াদি আর্থিক লক্ষ্য অনুযায়ী গঠন করার কার্যকর কৌশল

বাজেট বানান বাস্তবে কাজ করার মতো

প্রতিমাসে বেতনের পাঁচ ভাগ রেখে বাজেট বানালে টাকা ব্যবহার ধাপে ধাপে নিয়ন্ত্রিত হয়। ফোনে একটি সহজ স্প্রেডশীট বা মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাপে বিভাগ বানিয়ে রাখুন—বাড়ি, খাওয়া-দাওয়া, পরিবহন, মজুরি, আর বিনিয়োগ আলাদা করে ফেলুন। এতে দেখতে সুবিধা হবে কোথায় কেটে দেওয়া যায়।

রিয়েল লাইফে হ্যাপেন করতে পারে অপ্রত্যাশিত খরচ—সেজন্য জরুরি ফান্ড আলাদা রাখুন; সাধারন নিয়ম হল তিন থেকে ছয় মাসের খরচ। প্রতিমাসে ছোট অগ্রিম রেখে এই ফান্ড গড়ে তুললে, বড় অনিশ্চয়তায় টাকা খরচ কমে আনে।

অপ্রয়োজনীয় ব্যয় চিহ্নিত করে কমান

হাটে বাজার করার সময় তালিকা ছাড়া বের হলে নিত্যপ্রয়োজন ছাড়াও বেশি টাকা চলে যায়—একইটি অনলাইন সাবস্ক্রিপশনের ক্ষেত্রেও ঘটে। গত তিন মাসের ব্যয় দেখুন, যা অল্প নয় এমন অ্যাসাইনমেন্ট বাতিল করে দিন। সেখানে সস্তা বিকল্প বা একবারে বড় করে কেনাকাটা করে খরচ কাটা যায়।

ছোট-মোট ক্যাফে, ফোন ডেটা বা অপ্রয়োজনীয় এক্সট্রা—এসব নিয়মিতভাবে অল্প অল্প নষ্ট করে দেয় বড় টাকার সম্ভাব্য সঞ্চয়। প্রতিটি সাবস্ক্রিপশন বা ক্রয়ের জন্য নিজেকে তিন দিনের রুল দিন; প্রয়োজন না হলে বাতিল করে দিলে টাকার ব্যবহার আরও উদ্দেশ্যপূর্ণ হবে।

সঞ্চয় ও বিনিয়োগে প্রথম পদক্ষেপ নিন

সেই টুকু টাকা যেটা আপনার সুবিধা বলেই রেখে দিয়েছেন, সেটাকে সঞ্চয় হিসেবেই নয়, বাড়ানোর উপায় হিসেবে ভাবুন। ছোট এফডি বা সিপি থেকে শুরু করে মিউচুয়াল ফান্ডে নিয়মিত বিনিয়োগ—যা আপনার ঝুঁকির স্বীকৃতির সঙ্গে মেলে—সে দিকে অগ্রসর হন।

খুব বেশি জটিল হওয়ার দরকার নেই; ক্লিয়ার লক্ষ্য রাখলে মাসে নির্দিষ্ট একটি টাকাই অটোমেটিক ট্রান্সফার করে দিতে পারেন। পাঁচ বছর ধরে ধৈর্য্য ধরে রাখলে সময়ের সাথে সহজেই আর্থিক লক্ষ্য কাছে চলে আসবে।

আদত বদলে রুটিন গড়ে তুলুন

টাকা ব্যবহার পরিবর্তন মূলত আচরণ বদলে আসে। প্রত্যেক পছন্দের আগেই একটা ছোট রুল রাখুন—চাইলে দোকানে ঢুকেই পেমেন্ট করবেন না, আগে তালিকা দেখুন। এমন রুটিন গড়ে তুললেই অপ্রয়োজনীয় খরচ নিজে নিজে কমে আসে।

পরিবার কিংবা বন্ধুরা মিলে লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে গেলে অনুপ্রেরণা পাওয়া সহজ হয়। মাস শেষে নিজের অগ্রগতি পর্যালোচনা করুন, লক্ষ্য ছোট রাখুন এবং জয় উদযাপন করুন—এভাবেই টাকার ব্যবহার দীর্ঘমেয়াদে উদ্দেশ্যপূর্ণ হয়ে ওঠে। এখনই একটি ছোট প্ল্যান করে শুরু করুন এবং দেখুন প্রতিদিন কতটা বদল আসে।