loader image

দৈনন্দিন খরচ পুনর্বিবেচনার ৭টি কার্যকর উপায়

দৈনন্দিন ব্যয় কেটে সঞ্চয় বাড়ানোর সহজ বাজেট ও খরচ নিয়ন্ত্রণ কৌশল

বাজেট পরিকল্পনা শুরু করুন

প্রতিদিনের খরচ লিখে বের করুন কোথায় টাকা যায়। মুঠোফোনে সহজ নোট রাখলে খাতাপত্র রাখার সময় লাগবে না; সকালে চা এবং রাস্তার নাস্তা, বিকেলে টিউশন, মাসিক বাসা ভাড়া—সবই ছোট করে দেখুন।

মাসের শেষে মোট আয় থেকে জরুরি ব্যয় বাদ দিয়ে সঞ্চয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করুন। লক্ষ্য ছোট রাখুন, মাসে শুধু এক হাজার বা তিন হাজার টাকা আলাদা রাখলেই অভ্যাস তৈরি হবে এবং খরচ নিয়ন্ত্রণ সহজ হবে।

ছোট ছোট খরচ কেটে দিন

রাস্তায় কফি বা বেনারসির প্যাকেট প্রতিদিন কেনার বদলে বাড়িতে কফি বানান কিংবা সাবজেক্ট অনুযায়ী মধ্যাহ্নভোজ প্যাক করে নিন। ছোট ছোট মানি লিকেজগুলো কেটে সাশ্রয় বড় আকারে আসে।

মোবাইল রিচার্জ ও ইন্টারনেট প্ল্যান পুনরায় দেখুন; অনেক সময় অপ্রয়োজনীয় ডেটা প্যাকেজ চালু থাকে। নিকটস্থ দোকান বা বাজারের বিকল্প, যেমন স্থানীয় মুদির দোকান থেকে টানা কেনাকাটা, খরচ কমায়।

খাদ্য ও বাজারে বুদ্ধিমত্তা রাখুন

মাসিক বাজার তালিকা বানিয়ে গিয়ে বিকেলে বাজারে দাম তুলনা করুন; মৌসুমি সবজি কিনলে টাকা বাঁচে এবং স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। বাজারে কেনাকাটার সময় নগদ বহুল হলে ছাড় পাওয়া সম্ভব, তাই কখনো কখনো হ্যান্ডশেক বা নিকটলগ্ন দোকানে কথা বলুন।

বড় সাইজে চাল-পোলাও বা ডালের ব্যাগ কেনা হলে প্রতি ইউনিটের দাম কমে, তবে ব্যবহারযোগ্যতা যাচাই করুন। ফ্রিজে বা শুকনো জায়গায় সঠিকভাবে রাখা গেলে টাকাও বাঁচে এবং নষ্ট হওয়া কমে।

পরিবহন ও সাবস্ক্রিপশন সামলান

প্রতিদিন রিকশা বা ট্যাক্সি না নিয়ে মেট্রো বা লোকাল বাসে যাওয়ার অভ্যাস করুন; নিয়মিত কমপক্ষে সপ্তাহে দু’দিন শেয়ারগাড়ি বা সাইকেল ব্যবহার করলে অনেক টাকা বাঁচে। দূর যেতে হলে আগে টিকেট বুক করলে ছাড় পাওয়া যায়।

সাবস্ক্রিপশন চেক করে অপ্রয়োজনীয় সার্ভিস বাতিল করুন; যদি একটা সার্ভিসে বরাবরই ব্যবহার থাকে না, তাহলে বছরভিত্তিক বিল না দিয়ে মাসিক নিন বা বাতিল করে দিন। এইসব ছোট পদক্ষেপ মিলিয়ে মাসে লক্ষ্যে পৌঁছানো সহজ হবে।