loader image

নিজের অর্থে ইতিবাচক আর্থিক চক্র গড়ে তোলার ৭ কার্যকর কৌশল

বাজেট, সঞ্চয় ও বিনিয়োগে কার্যকর অভ্যাস গড়ে আর্থিক স্থিতিশীলতা অর্জন করুন

বাজেট ঠিক করে দিন-আয়ের দিকটা পরিষ্কার করুন

প্রতিস্থায়ীভাবে টাকা কোথায় যাচ্ছে সেটা বার বার দেখলেই বোঝা যায় কোনো জায়গায় ফাঁক পড়ছে কি না। মাসিক বেতন, ফ্রি­l্যান্স আয় বা রেমিট্যান্স সব মিলে একটি সাদা কাগজে বা মোবাইল অ্যাপে তালিকা করুন এবং খরচগুলো স্থায়ী ও অস্থায়ী ভাগে ভাগ করুন।

বাংলাদেশি বাজারে বাসা ভাড়া, ইউটিলিটি বিল আর পরিবহন খরচ নিয়মিত বাড়ে—এইগুলোর জন্য আলাদা খরচ লাইন রাখুন। সাধারণ নিয়ম হিসেবে ৫০/৩০/২০ মডেল মেনে চলুন, কিন্তু নিজের বাস্তবতা অনুযায়ী টাকাই টাকায় মেলে নেওয়া জরুরি।

জরুরি তহবিল গঠন ও ছোট ছোট সঞ্চয় অভ্যাস

জরুরি তহবিল না থাকলে একটি ছোট সমস্যা বড় টানাপোড়েন হয়ে দাঁড়ায়। প্রথমে তিন মাসের নিয়মিত খরচের সমপরিমাণ সঞ্চয় তৈরি করতে চেষ্টা করুন, তারপর ধীরে ধীরে ছয় মাস পর্যন্ত বাড়ান। প্রতিবার বেতন পেলে কিছু অংশ আলাদা করে রাখুন, এটাকে কখনো স্পর্শ করবেন না।

বিকাশ বা নগদ ও ব্যাংকগুলোতে অটোমেটিক সেভিংস সেট করা খুবই কার্যকর। সাপ্তাহিক বা মাসিক অল্প অল্প করে জমা করলে বড় অঙ্ক হয়। সরকারী সেভিংস সার্টিফিকেট বা মেয়াদী আমানত নিরাপদ বিকল্প হিসেবে বিবেচনা করতে পারেন, বিশেষ করে ঝুঁকি কম রাখতে চাইলে।

বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে বিনিয়োগ করে আয় বাড়ান

সঞ্চয় রাখলেই কাজ শেষ নয়, টাকাকে কাজ করাতে হবে। ছোটো মিউচুয়াল ফান্ড, কোম্পানির ডিভিডেন্ড শেয়ার, সরকারি সেভিংস—এইগুলো মিলিয়ে পোর্টফোলিও গঠন করুন। ঝুঁকিটা মাপা থাকলে লম্বা সময়ে মুনাফা আসতে পারে।

চাকরি ছাড়াও বিকল্প আয় পথ খুলুন: অনলাইন কাজ, ছোট ব্যবসা বা স্কিল-ভিত্তিক সার্ভিস। প্রতিটি আয়কে আলাদা অ্যাকাউন্টে রাখলে খরচ ও সঞ্চয় স্পষ্ট থাকে। বিনিয়োগের আগে স্থানীয় ট্যাক্স ও নিয়ম-কানুন মাথায় রাখুন।

ঋণ নিয়ন্ত্রণ, খরচ কাটা এবং অভ্যাস বদলানো

উচ্চ সুদে ঋণ থাকলে সেটাকে শীঘ্রই কমাতে চেষ্টা করুন। প্রথমে যে ঋণে সুদ বেশি সেখানে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে পরিশোধ করুন, অথবা কনসোলিডেট করে সুদের বোঝা হ্রাস করুন। লভ্য সুদের প্রকৃত হার এবং ফি-চার্জ বুঝে সিদ্ধান্ত নেবেন।

অস্থায়ী রেস্তোরাঁ বা অনলাইন শপিংয়ে খরচ কমাতে ছোট চ্যালেঞ্জ বানিয়ে দিন—মাসে দুটো কম খরচের দিন রাখলেই বড় তফাৎ পড়ে। নিয়মিত হিসাব করে চলুন, সপ্তাহে একবার ব্যালান্স দেখে নিন এবং লক্ষ্য ঠিক রেখে ধৈর্য ধরে বাড়ান নিজের আর্থিক চক্র।