loader image

অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার সময়ে মানসিক শান্তি বজায় রাখার 7 কার্যকর উপায়

অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার সময় মানসিক স্থিরতা রক্ষায় স্ট্রেস কমানো, বাস্তব বাজেট এবং মানসিক স্বাস্থ্য টিপস

অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা যখন ঘিরে ধরে, মনকে শান্ত রাখা শেখা জরুরি। বাংলাদেশে আমরা সবাই জানি যে চাকরির অবস্থা, ব্যবসার আয় বা রেমিট্যান্স এক মুহূর্তে বদলে যেতে পারে, তাই বাস্তবভাবে চলার কৌশল দরকার। নিচে এমন কিছু ব্যবহারিক উপায় দেয়া হলো যা প্রতিদিন অনুশীলনে এসে মানসিক চাপ কমায় এবং অর্থিক পরিস্থিতি সামলাতে সাহায্য করে।

বাস্তবতাটি গ্রহণ করুন এবং নিয়ন্ত্রণযাৎ চালিয়ে নিন

প্রথমে নিজের বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থার সুস্পষ্ট চিত্র তৈরি করুন; আয়, মাসিক খরচ, ঋণ ও সঞ্চয়ের তালিকা লিখে ফেলুন। এভাবে অবস্থার আকার আপনার হাতে এসে দাঁড়ায় এবং অপ্রয়োজনীয় আতঙ্ক কমে।

নিয়ন্ত্রণযোগ্য কিছুকে আলাদা করুন এবং যে বিষয়গুলো আপনার নিয়ন্ত্রণের বাইরে সেগুলোতে অতিরিক্ত শক্তি খরচ করবেন না। ছোট ছোট কাজের মাধ্যমে ধীরে ধীরে দায়িত্বশীল পরিকল্পনা করলে মন শান্ত থাকে এবং কার্যকর সিদ্ধান্ত নেয়া সহজ হয়।

সরল বাজেট এবং নগদ প্রবাহ ঠিক রাখুন

বাজেট মানে জটিল অঙ্ক করা নয়, বরং মাসে কী খরচ আসবে ও কী প্রয়োজন সেটার অগ্রাধিকার ঠিক করা। বিকাশ কিংবা ব্যাংক অ্যাপ ব্যবহার করে অ্যাকাউন্ট ট্র্যাক রাখলে অপ্রত্যাশিত খরচ নজরে আসে এবং মানসিক চাপ কমে।

জরুরি ফান্ড আলাদা রাখুন, এমনকি যদি তা প্রথমে ছোট হয়; একটি সপ্তাহ বা মাসের খরচ জমা থাকলেই হঠাৎ পরিস্থিতিতে আত্মবিশ্বাস বাড়ে। নিয়মিত নগদ প্রবাহ মনিটর করলে ঋণের বোঝা বাড়ার আগেই ব্যবস্থা নেওয়া যায়।

দৈনন্দিন মানসিক স্বাস্থ্য অভ্যাস গড়ে তুলুন

প্রতিদিন সকালে কয়েক মিনিট গভীর শ্বাসপ্রশ্বাস, হাঁটা বা হালকা ব্যায়াম করলে স্ট্রেস হরমোন কমে এবং মন পরিষ্কার থাকে। এসব অভ্যাস আপনাকে গভীরভাবে চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে।

ঘন ঘন ফোন থেকে বিরতি নিন এবং খবর-সোশ্যাল মিডিয়া সীমিত সময়ে দেখুন, কারণ অতিরিক্ত খারাপ খবর মনকে দুর্বল করে দেয়। বন্ধু বা পরিবারের সাথে কথা বলুন, মন খুলে শেয়ার করলে চাপ অনেকটা হালকা হয়।

সহায়তা নিন এবং বাস্তব পরিকল্পনা করুন

প্রয়োজন মনে হলে পেশাদার কাউন্সেলিং বা সমাজসেবা গ্রহণ করুন; অনেক সময়ের জন্য স্থানীয় এনজিও বা ক্লিনিকে সহজ উপদেশ পাওয়া যায়। মানসিক স্বাস্থ্য লুকিয়ে রাখলে সমস্যা বাড়ে, সহায়তা নিতে লজ্জা করবেন না।

দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য নির্ধারণ করে ছোট ছোট লক্ষ্য ঠিক করুন, যেমন তিন মাসে খরচ কমানো বা এক বছরের মধ্যে জরুরি তহবিল গঠন। পরিকল্পনা থাকা মানেই অনিশ্চয়তার মাঝে একটি নিরাপত্তা জায়গা তৈরি করা।