কেনাকাটার চাপ কমানোর ১০ কার্যকর কৌশল
বাজেটিং, আকস্মিক কেনাকাটা নিয়ন্ত্রণ ও মানসিক কৌশল দিয়ে অপ্রয়োজনীয় খরচ রোধের বাস্তব উপায়

বাজেট বানান এবং বাস্তবে টাকাটা লিখে রাখুন
প্রতি মাসে আয় ও খরচের একটি সরল তালিকা রাখলে বোঝা সহজ হয় কোথায় অতিরিক্ত বেরোচ্ছে। টাকা বাংলার বাজারে কেমন খরচ হয়, সেটার ওপর ভিত্তি করে খাবার, ভাড়া, ট্রান্সপোর্ট আলাদা কলামে লিখে রাখুন।
বাজেট বানানোর সময় অ্যাপ বা কাগজ দুটোর মধ্যে যা জিনিসপছন্দ করুন সেটা ব্যবহার করুন। যদি নগদে খরচ বেশি হয়, bKash বা Nagad লেনদেন দেখে আলাদা কলাম রাখুন যাতে ‘অচেনা’ বিলগুলো ধরা পড়ে।
আকস্মিক কেনাকাটা কাবু করার সরল কৌশল
চাহিদা বা ইচ্ছের মধ্যে পার্থক্য করতে শিখুন; লোভ হলে পণ্যের ছবি নিয়ে ২৪ ঘণ্টা অপেক্ষা করুন, সাধারণত অনেক ইচ্ছা ম্লান হয়ে যায়। মলের মহড়া বা অনলাইন সেল দেখে বাজে কেনাকাটা করার ফ্রীতিতে পড়ার বদলে প্রত্যেক কুপন বা ডিসকাউন্টকে নকল করে চিন্তা করুন।
ক্রেডিট কার্ডের কিস্তি সুবিধা খারাপ না, কিন্তু অতিরিক্ত খরচ বাড়ায়। বড় কেনাকাটার আগে নিকটজনের পরামর্শ নিন বা ভিন্ন দোকানে দাম তুলনা করুন, এটা অনেক টাকা বাঁচায়।
মানসিক কৌশল: অভ্যাস বদলানো সহজ কাজ নয় কিন্তু সম্ভব
ছোট ধাপে অভ্যাস বদলের পরিকল্পনা করুন। প্রতিদিন কফি বাইরে কেনার বদলে খোলা কাপ নিন বা সপ্তাহে একদিন মল এড়ান, এসব অভ্যাস ধীরে ধীরে কল্যাণ বয়ে আনে।
অপ্রত্যাশিত ইচ্ছা মাথায় এলে ৫ মিনিট হাঁটাহাঁটির চেষ্টা করুন, অনেক সময় ইচ্ছা কেটে যায়। নিজের প্রতি কঠোর হবেন না; মাস শেষে ছোট পুরস্কার রাখলে নিয়ম মেনে চলা সহজ হয়।
টেকনোলজি ও সুবিধা ব্যবহার করে খরচ কমান
বাজেটিং অ্যাপ ব্যবহার করলে মাসিক সীমা অটোমেটিক ট্র্যাক হয় এবং অপ্রয়োজনীয় চেক আউট ঠেকে যায়। বাজারের তুলনা ও রিভিউ দেখে কেনাকাটা করলে কম মানহীন পণ্য আসে এবং রিটার্ন সমস্যা কমে।
সাবস্ক্রিপশন সার্ভিসগুলো বারবার চেক করে আনপ্রয়োজনীয় সাবস্ক্রিপশন কেটে দিন, ছোটখাটো মাসিক ফি জমানো টাকাও সোয়ের। সাশ্রয়ী বিকল্প খুঁজুন; স্থানীয় বাজার বা ছোট দোকান অনেক সময় ভালো মানে কম দামে পণ্য দেয়।