loader image

ভোক্তা অভ্যাসে নজর রাখুন: খরচ কমানোর ও স্মার্ট কেনাকাটার ৭টি কৌশল

দৈনন্দিন সিদ্ধান্তে ছোট পরিবর্তন এনে মাসিক খরচ কমান ও বাজেট নিয়ন্ত্রণ করুন

খরচ ট্র্যাকিং বজায় রাখুন

প্রতিদিনের ছোট ছোট কেনাকাটা ও বিল সবার মিলিয়ে বড় খরচ হয়ে দাঁড়ায়। মোবাইলের নোট অ্যাপ বা কাগজের একটি সহজ তালিকায় প্রতিটি খরচ লিখে রাখুন, এমনকি রিকশা ভাড়া বা চায়ের দোকানের খরচও। মাস শেষে আপনাকে স্পষ্ট ধারণা দেবে কোন খাতে কতটা লিকেজ হচ্ছে।

ডিজিটাল পেমেন্টের বিবরণ, যেমন bKash বা Nagad ট্রান্সজেকশন, সংরক্ষণ করুন। ব্যাংক স্টেটমেন্ট মিলিয়ে দেখলে দেখবেন কোন সাবস্ক্রিপশন বা অপ্রয়োজনীয় ক্রয়ের প্রতিটি বার্তা। এটা নিয়ম বানালে মাসিক বাজেট আলাদা করে প্ল্যান করা সহজ হবে।

স্মার্ট কেনাকাটা অনুশীলন

মার্কেট কিংবা সুপারশপে গিয়ে তালিকা ছাড়া চলবেন না। স্থানীয় হাটে মৌসুমি সবজি ও পাইকারি মূল্য খুঁজে নিতে পারেন, যে জিনিসটি বেশি দরকার নেই সেগুলো অপশন থেকে বাদ দিন। প্রতি কিলো দরের তুলনা করে সিদ্ধান্ত নিলে বাস্তবে বেশি সেভ করা যায়।

বাল্কে কেনাকাটা করার সময় ত্রুটিহীন স্টোরেজ পরিকল্পনা রাখুন যাতে জিনিস নষ্ট না হয়। ব্র্যান্ড থেকে বেশি বার যুক্তিসঙ্গত বিকল্প বেছে নিন, সেভিং করার জন্য কুপন বা বাজারের প্রচারের সময় কাজে লাগান। ছোট ডিসকাউন্টগুলো মিলিয়ে বড় সাশ্রয় হয়।

সেবায় বুদ্ধি ব্যবহার করুন

ইন্টারনেট, মোবাইল প্ল্যান বা কেবল টিভির জন্য সাবস্ক্রিপশন রিভিউ করুন। অনেক সময় আমরা পুরনো প্ল্যানে থাকার কারণে বেশি টাকা দিই। স্থানীয় অপারেটরের অফারগুলো তুলনা করে সস্তা প্যাক নিতে পারেন, ফলে কোয়ালিটি বজায় রেখে খরচ কমবে।

রাইডশেয়ার বা সিএনজি ব্যবহার করেছি কী না বিবেচনা করুন, দৈনন্দিন ছোট ট্রিপে সাইকেল বা পায়ে হাঁটাতে পারলে জমানো যায়। বাড়িতে ছোট রক্ষণাবেক্ষণ নিজে করলে সার্ভিস খরচ কমে। সময়ে সময়ে পরিষেবা চেক করে অপচয় রোধ করুন।

দীর্ঘমেয়াদী বদলের জন্য পরিকল্পনা করুন

মাসিক সেভিং মাইক্রো-টাস্কে ভাগ করুন। প্রতিমাসে নির্দিষ্ট একটি হার, ধরুন আয় ৫-১০ শতাংশ, সঞ্চয়ের জন্য আলাদা করুন এবং সেটি স্বয়ংক্রিয় করা গেলে পরিবর্তন চালিয়ে যেতে সহজ হবে। জরুরি তহবিল তৈরির অভ্যাস গড়ে তুলুন যাতে ঋণ নেওয়ার দরকার না পড়ে।

পরিবর্তনগুলো ছোট রাখুন, যে গুলো আপনি দীর্ঘ সময় ধরেই চালিয়ে যেতে পারবেন। আজই একটি সহজ বাজেট তৈরি করে এক সপ্তাহ পালন করুন এবং ফল জানুন। নিয়মিত মূল্যায়ন করলে আপনার ভোক্তা অভ্যাস ধীরে ধীরে স্মার্ট হবে এবং মাসিক চাপ কমবে।