loader image

১০ সহজ উপায় ক্ষুদ্র ঋণ জমা এড়ানোর জন্য

ক্ষুদ্র ঋণ জমা রোধে প্রমাণিত বাজেট কৌশল, খরচ নিয়ন্ত্রণ ও দ্রুত ঋণ পরিশোধের টিপস

অলক্ষ্য খরচ চিহ্নিত করুন

প্রতিদিন ছোট ছোট খরচগুলোই শেষ পর্যন্ত ক্ষুদ্র ঋণের জমার কারণ। চা-স্টল, মোবাইল রিচার্জ বা অনলাইন অপ্রয়োজনীয় সাবস্ক্রিপশনে কত টাকা যাচ্ছে তা সপ্তাহে একবার লিখে নিন।

বাজারে কেনাকাটা করার সময় তালিকা নিয়ে যান এবং ইমপ্রোভাইজ করা এড়ান। আপনার লেনদেনগুলো মোবাইল ব্যাঙ্কিং অ্যাপে দেখলে বুঝতে সুবিধা হবে কোথায় বারবার টাকা ফুরোয়।

বাস্তবসম্মত বাজেট তৈরি করুন

মাসিক আয়ের ভিত্তিতে সতর্ক বাজেট বানান—খাবার, ভাড়া, পরিবহন ও সঞ্চয়ের জন্য আলাদা আলাদা টাকা রাখুন। ঢাকার মতো শহরে অপ্রত্যাশিত খরচ বেশি হলে সতর্কতা দরকার।

বাজেটে ছোট ঘরোয়া খরচের জন্যও একটু ফাঁক রাখুন যাতে আকস্মিক খরচ কভার করা যায়। সেভিংস জমানোর নিয়ম করে রাখলে ক্ষুদ্র ঋণ নেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না।

ঋণ ও কিস্তি সচেতনতা বজায় রাখুন

বড় ঋণ না থাকলেও ছোট কিস্তি বা ক্রেডিট কার্ড ব্যালেন্স বাড়লে তা একের পর এক ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে। কিস্তি শুরুর আগে কিস্তার মোট ব্যয় ও সুদের হার খুঁটিয়ে দেখুন।

মোবাইল পেমেন্ট অ্যাপ বা ক্যাশে ছোট ঋণ নিয়ে দ্রুত পরিশোধের পরিকল্পনায় রাখুন। বিকাশ ও নগদের মতো সেবায় কখনোই অপ্রয়োজনীয় ক্রেডিট গ্রহণ করবেন না।

স্বল্পপ্রতিষেধক অভ্যাস গড়ে তুলুন

প্রতিমাসে একটি ‘অ্যাকচুয়াল সেভিংস চ্যালেঞ্জ’ রাখুন—নিজেকে নির্দিষ্ট টাকা না খরচ করার শর্ত দিন। এতে অপ্রয়োজনীয় কেনাকাটা কমে এবং ক্ষুদ্র ঋণ জমার সুযোগ কমে।

জরুরি ফান্ড তৈরি করুন, এমনকি ছোট টাকাই হোক—এক বুকের কাছে খুঁটিয়ে রাখলে ছোটখাট সমস্যায় ক্রেডিট নেওয়ার চাপ পড়ে না। এখনই আপনার প্রথম মাসের জরুরি তহবিল জমা শুরু করুন।