ব্র্যাক ব্যাংক ভিসা প্লাটিনাম ক্রেডিট কার্ডে পুরস্কার পয়েন্ট, লাউঞ্জ সুবিধা ও রেস্টুরেন্ট ছাড়
ব্র্যাক ব্যাংক ভিসা প্লাটিনাম ক্রেডিট কার্ডটি প্রথম ব্যবহারেই ২০০ পুরস্কার পয়েন্ট, শাহজালাল বিমানবন্দরের লাউঞ্জে ফ্রি প্রবেশ এবং দেশের শীর্ষ রেস্টুরেন্টে বছরের নানা ছাড় নিশ্চিত করে

কার্ড পরিচিতি ও প্রধান সুবিধা
ব্র্যাক ব্যাংক ভিসা প্লাটিনাম ক্রেডিট কার্ড বাংলাদেশের শহরজীবী ও ভ্রমণপ্রিয় গ্রাহকদের জন্য ডিজাইন করা এক প্রিমিয়াম অপশন। এটা দৈনন্দিন কেনাকাটা, অনলাইন বিল এবং আন্তর্জাতিক ট্রাভেলে সহজ লেনদেনের সুবিধা দেয়, সঙ্গে রয়েছে এক্সক্লুসিভ অফার।
কার্ডটিতে দ্রুত প্রক্রিয়াকরণ, ২৪/৭ গ্রাহক সেবা এবং নিরাপদ টকেনাইজেশন সুবিধা থাকায় আপনার আর্থিক পরিচালনা আরও স্মার্ট হয়। ব্র্যাক ব্যাংক ভিসা প্লাটিনাম ব্যবহার করলে আপনি বিশেষ পয়েন্ট, ডিসকাউন্ট ও লাইফস্টাইল বেনিফিট পেতে থাকবেন।
পুরস্কার পয়েন্ট ও লাউঞ্জ সুবিধা
কার্ড একবার ব্যবহার করলেই ২০০ পুরস্কার পয়েন্ট দেওয়া হয়, যা ভবিষ্যতে বিভিন্ন পণ্য বা বিল পরিশোধে রিডিম করা যাবে। নিয়মিত শপিং করলে পয়েন্ট জমে, এবং পয়েন্ট রিডেম্পশনের ক্ষেত্রে বিশেষ প্রমোশনও পাওয়া যায়।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বালাকা লাউঞ্জে ফ্রি প্রবেশাধিকার দেয়ার পাশাপাশি বিশ্বের ১১০০+ লাউঞ্জে ভিজিটভিত্তিক সুবিধা পাওয়া যায়। আন্তর্জাতিক ভ্রমণে এই লাউঞ্জ সুবিধা ভ্রমণের চাপ কমায় এবং সুযোগগুলোকে আরও আরামদায়ক করে তোলে।
রেস্টুরেন্ট ও লাইফস্টাইল ছাড়
ব্র্যাক ব্যাংক ভিসা প্লাটিনাম ক্রেডিট কার্ড গ্রাহকরা দেশের প্রধান রেস্টুরেন্টগুলোতে বিশেষ ছাড় উপভোগ করেন; বছরে নির্দিষ্ট সময়গুলোতে বাছাই করা রেস্তোরাঁয় Buy One Get One বা শতাংশভিত্তিক ছাড় থাকে।
লাইফস্টাইল ও ফ্যাশন আউটলেটে নির্ধারিত দিনের বিশেষ অফার, হোটেল ও রিসর্টে ডিসকাউন্টসহ কুপন বোনাসও নিয়মিত পাওয়া যায়। যারা ঢাকা বা চট্টগ্রাম শহরে খাওয়াদাওয়ার বাইরে ঘোরাঘুরি করেন, তাদের জন্য এসব ছাড় মোটেই কম নয়।
আবেদন, ফি ও নিরাপত্তা
আবেদন অনলাইনে কিংবা ব্রাঞ্চে করা যায়; প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হিসেবে পূরণকৃত আবেদনপত্র, জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) কপি, ই-টিন, পাসপোর্ট সাইজ ছবি এবং আয়সম্পর্কিত ডকুমেন্টস লাগবে। অনলাইনে আবেদন করলে প্রক্রিয়া সাধারণত দ্রুত সম্পন্ন হয়।
বার্ষিক ফি প্রায় ৫,০০০ টাকা, বার্ষিক সুদের হার প্রায় ২০% এবং ছোট সার্ভিস চার্জগুলো সম্পর্কে স্পষ্ট তথ্য ব্যাংকের শর্তে পাওয়া যায়। কার্ড নিরাপত্তা হিসেবে CVV, OTP এবং ৩DSecure ব্যবহৃত হয়, ফলে অনলাইন লেনদেন নিরাপদ থাকে।